পাহাড়ী ত্রিফলা চূর্ণ
পাহাড়ী ত্রিফলা চূর্ণ (Pahari Triphala Churna) একটি আয়ুর্বেদিক বা হারবাল উপাদান, যা সাধারণত তিনটি ভেষজ ফলের সংমিশ্রণে তৈরি হয়: হারীতকি (Haritaki), বhibitaki (Bibhitaki), ও আমলকি (Amlaki)। তবে "পাহাড়ী" শব্দটি থেকে বোঝা যায় যে এটি হয়তো পাহাড়ি অঞ্চলে উৎপন্ন বিশেষ কোনো ধরনের ত্রিফলা চূর্ণ, অথবা স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত একটি সংস্করণ।
নিচে দেওয়া হলো প্রাকৃতিক ত্রিফলার অসাধারণ উপকারিতাসমূহ:
স্বাস্থ্যগত উপকারিতা:
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে
চাপ ও মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ওজন কমাতে সহায়তা করে
কিডনি ও লিভার পরিষ্কার রাখে
ডিটক্সিফিকেশনে কার্যকর ভূমিকা রাখে
সৌন্দর্য ও দৈহিক যত্নে:
চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
চুল পড়া বন্ধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর – ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) ‘এহইয়াউল উলূম’ গ্রন্থে ত্রিফলার উল্লেখ করেছেন যৌন শক্তি বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে।
অতিরিক্ত বৈজ্ঞানিক গুণাবলি:
ত্রিফলায় রয়েছে গ্যালিক অ্যাসিড, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
আমলকিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি – আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ, লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি
হরিতকিতে থাকে ট্যানিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড
বহেরাতে থাকে বিভিন্ন উপকারী যৌগ ও খনিজ পদার্থ
প্রিমিয়াম কোয়ালিটি নিশ্চয়তা – পাহাড়ি ফুড
আমাদের ত্রিফলা প্রস্তুত করা হয় খাগড়াছড়ির গহীন জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করা সর্বোত্তম মানের আমলকি, হরিতকি ও বহেরা দিয়ে।
100% প্রাকৃতিক, কেমিকেল ও ধুলামুক্ত
কোনো কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ নেই
স্বাস্থ্যকর ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রক্রিয়াজাত
একটি ভারতীয় প্রবাদ বলে: "যার ঘরে ত্রিফলা আছে, তার মায়ের যত্নের প্রয়োজন নেই।"
সাধারণভাবে ত্রিফলা চূর্ণের উপকারিতা:
হজম শক্তি বাড়ায় – গ্যাস্ট্রিক, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
ডিটক্সিফিকেশন – শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।
চোখের জন্য উপকারী – নিয়মিত সেবনে চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হতে পারে।
ত্বক ও চুলের যত্নে – অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় – শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
সেবনের নিয়ম (সাধারণত):
প্রতিদিন রাতে খাবারের পর ১ চামচ ত্রিফলা চূর্ণ কুসুম গরম পানির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। কেউ কেউ দুধের সাথেও খেয়ে থাকেন (বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য)।